আজকের ধামাকা দার নতুন পর্বের আপডেট ,পর্বের শুরুতে আমরা দেখতে পারি দেবা এবং পল্টু দুজনে থানায় যাই। থানায় গিয়ে বড় বাবুর সাথে গয়না চোরের ব্যাপারে যা যা তথ্য পেয়েছে এগুলোর কথা খুলে বলে। বড়বাবু খোঁজ নিয়ে জানতে পারে গাড়িতে যে নাম্বার প্লেট রয়েছে ওটা ভুল। তখন দেবা এবং বল্টু ওখান থেকে চলে আসে। অন্যদিকে আমরা দেখতে পাই আখিও রূপের রেবেকা গৌরবের কাছে একটা ফোন দিয়ে বলেন নিন আপনি বাড়িতে ফোন করবেন বলেছিলেন কথা বলুন। গৌরব ওর মাকে কল দিতে গিয়ে দেখে ওর মায়ের নাম্বারটা মনে নেই। তারপর গৌরব ছেলেকে কল দিতে যায় কিন্তু ঝিলিকের ফোনটা সুইচড অফ বলে। গৌরব তখন ফোনটা দিয়ে দেয় আর বলে সুইচড অফ। আঁখি তখন বলে বাড়িতে তো অনেকে আছে তাহলে অন্য কারো নাম্বারে কল দিয়ে দেখুন। গৌরব তখন আখিকে বলে আমার বাড়িতে অনেকে আছে সেটা আপনি কি করে জানলেন। আঁখি তখন একটু ঘাবড়ে যায় তারপরে বুদ্ধি খাটিয়ে বলে কাল যে আপনি বলেছিলেন বাড়িতে সবাই টেনশন করছে তাই ভাবলাম অনেকে হয়তো থাকবে। আচ্ছা আপনি আমায় কাল বললেন না যে আমি আখি না ঝিলিক। আচ্ছা ঝিলিক যে আপনার ওয়াইফ সেটা তো বুঝলাম কিন্তু এই আখিটাকে বলেন তো। গৌরব তখন বলে আঁখি হল আমার সালে ঝিলিক এবং আঁখি ওরা যমজ। কিন্তু কি জানেন অদ্ভুতভাবে আপনার সাথে ওদের দুজনের একদম মিল। কেন বলুন তো। তখন বলে সেটা আমি কি করে জানব আমারও তো আপনাকে চেনা চেনা লাগছে কিন্তু আমি তো আর আপনাকে কখনো দেখিনি। আচ্ছা আপনি কে বলুন তো। গৌরব তখন বলে আচ্ছা আপনি কাঞ্জিলাল সাদা কোম্পানির নাম শুনেছেন আমি ছাতা বাড়ির ছেলে। আছি তখন মনে মনে ভাবে ঝিলিক ওতো সাতাবারের বউ তাহলে ও আবার আমার দেবার দিকে নজর দিতে যাবে কেন। তারপর আর কি গৌরবকে বলে আচ্ছা আপনি তো আপনার স্ত্রীকে অনেক ভালোবাসেন তাই না। গৌরব বলে খুব অনেক বেশি ভালোবাসি। রাখি তখন বলে তাহলে আপনার স্ত্রী আপনাকে কতটা ভালোবাসে। গৌরব তখন বলে ও আমাকে আমার থেকেও বেশি ভালোবাসে।
অন্যদিকে আমরা দেখতে পাই ঝিলিক সবকিছু নিয়ে ভাবছিল। প্রথম থেকে আখির মুখোশ দেখে ভয় পাওয়া হারিয়ে যাওয়া গয়না এমন বিস্ফোরণ। আখির পরিবর্তন। এসব করলে পেছনে একটাই জিনিস রয়েছে মুখোশ। মুখোশের আড়ালে কার মুখ এটা খুঁজে বের করতে হবে। আর এদিকে দেবা আঁখি আর দেবারস স্মৃতি মনে করে একা একা হাঁসছিল। আখি কে নিয়ে কল্পনার জগতে ভাসছিল দেবা। ঝিলিক পল্ট ওরা সবাই দেবা কে খেতে ডাকি কিন্তু ও কারো কথায় কান দেয় না। তখনই হঠাৎ করে দেবার ফোনে একটা কল আসে থানা থেকে কল দিয়েছে বড় বাবু। কলটা রিসিভ করার পরে বড়বাবু বলে গতকাল ওরা যে গাড়িটা দেখেছি কেন ভাই ওটা বড় বটতলার দিকে গেছে শহর থেকে অনেকটা বাইরে। ওটা অন্য জেলার ভিতরে পড়েছে বলে আর কোন আপডেট দিতে পারেনি। ঝিলিক তখন বলে তাড়াতাড়ি খাওয়া দাওয়া করে নে আমরা বড় বটতলার ওদিকে যাব। অন্যদিকে আমরা দেখতে পাই ছাতা বাড়িতে সবাই গৌরবের ছবির সামনে মালা দিয়ে কান্নাকাটি করছিল। গৌরবের মা বলে আমি তো আমার ছেলেকে হারিয়েছি কিন্তু আমার কষ্ট লাগবে ঝিলিকের জন্য। মেয়েটা বিনা দোষে শাস্তি পাচ্ছে। তখন অনিমেষ রায় বলে ও আলিয়ার বড় ভুল করেছে, থানা থেকে বারবার বলছে আপনার মেয়েকে সালেন্ডার করতে বলুন। কিন্তু আমি জানি ও যদি একবার সালেন্ডার করে তাহলে ওকে ওরা অনেক বড় শাস্তি দেবে। জেঠু মনি তখন বলে ওই তিনজন গয়নার দোকানের মালিককে যদি রাজি করি কেসটা তুলে নেওয়া যায় তাহলে হবে না।
আর কতক্ষণ বলে কিন্তু বাবা ওনারা কেস কেন তুলবেন। বরং ওরা আরো বলেছে এর শেষ অব্দি দেখে ছাড়বে। অনিমেষ রায় তখন বলে কোন কিছুতেই কাজ হবে না আসো একটা কাজ অবশ্যই হতে পারে যদি ওদের গয়নার পরিমাণ টাকা ওদেরকে দিয়ে দেওয়া হয় তাহলে হয়তো কেসটা তুলে নিতে পারে।। দেখি ওনাদের সাথে কথা বলে প্রয়োজনে আমি আমার গয়নার কোম্পানিটা বিক্রি করে ওদের টাকা শোধ করব। তখনই হঠাৎ করে ওখানে পি আর কে আসে আর বলে সারপ্রাইজ কেমন আছে সকলে। পি আর কে কে ওখানে সবাই দেখে অবাক হয়ে যায়। তখন রায়মা পিসিমনি গোরা ওরা সকলে পি আর কে এর কাছে যাই। পিসিমণি বলে তুমি কেমন আছো দাদা? অনেক কষ্ট হয়েছে। আর কে বলার না দেখ আমি এক আজকাল জেলখানাও অতীতে নিবাসের মতো হয়ে গেছে আমি আগের থেকে কতটা মোটা হয়ে গিয়েছি। অনিমেষ প্রায় তখন বলে আচ্ছা তাহলে আমরা এখন আসি। আর কে বলে কোথায় যাচ্ছেন বিয়াই মশাই। শ্রেয়ানে শেয়ানে অনেক তো হলো এবার একটু বেয়াই বেয়াই তে কোলাকুলি হবে না। তোমরা সবাই ভেবেছিলে আমিও ফিরে আসবো না দেখো না আমি ফিরে এসেছি। তারপর বলে নীলিমা তুমি যাও তোমার ছেলেকে একটু ডাক দাও আমিও দেখি সাথে পাঁচফোড়ন বউমা টা কেউ ডাক দিও। গৌরবের মা তখন বলে গৌরব আর কখনো তোমার সামনে আসবে না। পিয়ার কি বলে কেন আসবেনা লজ্জায় ভয়ে আসবে না। তখন নীলিমা গৌরব এর ছবির সামনে থেকে সরে যায়। তখন পি আর কে দেখে গৌরবের ছবি তে মালা দেওয়া।