আমি ডি ইইচ অমি । বাবা মার এক মাত্র সন্তান,ছোট বেলা থেকেই খুব আদরে মানুষ হয়েছি আমি, আদরে আদরে একদম বাদর হয়ে গেছি।দুষ্টামিতে এক নাম্বার,ছোট বেলা থেকেই বাবা,মার কাছে যা চাইতাম তাই পেয়েছি,না চাইতেও আমার জীবনে অনেক কীছু পেয়েছি আমি।এভাবেই হাসি খুশি,দুষ্টামিতে স্কুলের গন্ডি পার করলাম আমি।শুনেছি কলেজ লাইফ নাকী খুব মজার লাইফ। আজ আমার কলেজ এর ফাস্ট ডে,প্রথম সিটে আমার আর জায়গা হলো না,তাই লাস্ট সিটে গিয়ে বসে পড়লাম।
একটু ভয় ভয় ও করছিলো।হঠাৎ এক সুন্দর রমনি এসে আমার পাশেই বসলো।তার রুপের বর্ননা দেওয়া আার পক্ষে সম্ভব নয়।এ যেনো আমার জীবনে খুব সুন্দর এক রমনি।তার সাথে পরিচয় পর্বটা শেষ করে নিলাম।তার নাম মরিয়ম ।আমাদের পাশের গ্রামেই থাকে, আগে কখনও দেখা হয়নি আমার সাথে।ক্লাস চলা কালিন দুষ্টামি করে তার ব্যাগ এ একটা চিলকুট দিলাম, একটু পরে সে চিলকুটটা পরে আমার দিকে তাকিয়ে ভুবন ভুলানো একটা হাসি দিয়ে বললো এতো দুষ্টু কেনো তুমি?
পাশে এতো সুন্দর রমনি থাকলে একটু তো দুষ্টামি করতেই হয়।এভাবেই দিন চলছিলো আমাদের।খুব ভালো বন্ধু হয়ে গেয়েছিলাম।কীন্তু কোনো এক কবি বলেছিলেন, একটা ছেলে আর একটা মেয়ে কোনো দিন বন্ধু হয়ে থাকতে পারে না,তাদের মাঝে প্রেমের মধুর সম্পর্কটা তৈরি হয়ে যায়।আমাদের ও তাই হয়,বন্ধু থেকে প্রেমিক হয়ে গেলাম।স্কুল ছুটি শেষে সকলের শেষে বের হতাম,আমরা,কখনও কখনও দুজনে দুজনের দিকে তাকিয়ে থেকে মিলিয়ে দিতাম দুজনের ঠোঁট দুটো, এ যেনো এক অন্য রকম সুখ,যেটা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না।
স্কুল ফাকি দিয়ে ফুচকা খাওয়া,ঘুরতে যাওয়া এ যেনো আমাদের নিত্য দিনের কাজ হয়ে দাড়িয়ে গিয়েছিলো।হঠাৎ একদিন জানতে পারি মরিয়ম হিন্দু পরিবারের মেয়ে সেদিন নিজেকে নিজের মাঝে রাখতে পারছিলাম না,খুব ভালোভাবে বুজতে পারছিলাম আমাদের সম্পর্কটা হবার নয়,তবুও মন মানাতে পারছিলাম না।তাই সব সময় ওর সাথে মিশে থাকার যেষ্টা করতাম।একদিন সন্ধায় ওর বাসা নোট এর জন্য গিয়ে ছিলাম।(ওর বাসায় আমি মাঝে মাঝেই যেতাম সকলেই চিন্ত আমাকে)নোট তো একটা বাহানা ছিলো, আসলে তো ওর কাছে যেতে ইচ্ছে করছিলো।সে দিন খুব বৃষ্টি হচ্ছিলো,এতো বৃষ্টিতে আর বাড়ি ফেরা হয়নি আমার।
মরিয়ম ঘরে বসে ছিলাম।বসে থাকতে থাকতে কেমন একটা ঘোর এর মধ্যে চলে গিয়েছিলাম।বাইরে বৃষ্টি, সুন সান পরিবেশ আর সামনে বসে থাকা আমার প্রিয়তমা,নিজেকে ধরে রাখা যেনো দায় হয়ে যাচ্ছিলো,জানি এটা ভুল হবে তবুও বার বার ভুলটাই করতে ইচ্ছে করছিলো।আজকের ওয়েদার ও যেনো তাই যাচ্ছে,ওরা বৃষ্টি হয়ে পরিবেশ নীরব রেখে বুঝিয়ে দিচ্ছে, ভলোবাসার মানুষ টার সাথে মিশে যাওয়া কোনো ভুল না।কীছু সময় বসে থেকে,ওর দিকে চলে গেলাম।ওর পাশে বসে, ওর হাতটি নিজের হাতের মাঝে নিয়ে একটা ডিপলি কিস করলাম।
আজ যেনো ও নিজেও চাইছে আমি ওকে আমার ভালোবাসার চাদরে ও কে জোরিয়েনি,তাই ওকে কোলে তুলে নিয়ে,খাটে সুয়ে দিয়ে জোরিয়ে ধরে ওর কপালে একটা কিস করলাম,ধীরে ধীরে ওর ঠোঁট দুটো নিজের দখলে নিয়ে নিলাম।তার পর হারিয়ে গেলাম এক অন্য যগতে, যে যগতটাতে এখন শুধু আমরা দুজন ছাড়া আর কেও নেই।কথাই আছে যেটা তোমার নয় সেটা কোনো ভাবেই তোমার হবে না।আমাদের জীবনেও তাই হলো, হারিয়ে ফেললাম আমার প্রিয়তমাটাকে, ওর পরিবার ওকে অন্য কারো সাথে বিয়ে দিয়ে দিলো।চাইলেও আমি কীছুই করতে পারলাম না কারণ আমরা দুজনেই সেম ইয়ার, চাকরি বাকরি কীছুই করিনা, কোনো ভাবেই ওকে পাওয়া হলো না আমার।
এভাবই হাজার ও ভালোবাসা হারিয়ে যায়, ঝরো বৃষ্টির মতো,আজ শুধু একটা কথাই বলতে ইচ্ছে করে।পেয়েও পাওয়া হয়নি তোমায় প্রিয়তমা,ভালোবাসি,বড্ড ভালোবাসি তোমাকে,ভালো থাকে তুমি তোমার সংসার নিয়ে।কিছু কিছু ভালোবাসা হেরে যায় ধম নামক সমাজের জন্য।