দুই ঝিলিক চিনতে পারার উপাই খুঁজছে আখিঁ




নতুন পর্বের আপডেট  দুই শালিক সিরিয়ালের আজকের ধামাকাদার,



ঝিলিক একা একা দাঁড়িয়ে জুডো প্র্যাকটিস করছিল আর নকল আঁকি কে কিভাবে ধরবে তার প্লান ভাবছিল মনে মনে। তখন সেখানে চার আনা আসে আর ভাবে দিদি একা একা লড়াই করছে মানে ওর ভেতরে দুটো কিডনির সাথে লড়াই হচ্ছে। নিশ্চয় ও কোন কিছু নিয়ে চিন্তায় আছে তাই জন্য ও এমন একা একাই লড়াই করছে যাই গিয়ে শুনে দেখি। তারপর চার আনা  ঝিলিকের কাছে যায় গিয়ে বলে দিদি তোর কি হয়েছে। তুই কার উপরে রাগ করে আছিস। ঝিলক তখন বলে দেবার দু'নম্বর বউয়ের উপর। চার আনা বলে আচ্ছা হে, আমিও শুনলাম দেবা দার তো লটারি লেগেছে। তখন সেখানে দেব বা পল্টু আর ঝিলিকের মা বাবা পুষ্প সবাই আসে। দেবা ঝিলিক কে বলে আচ্ছা তুই এখানে আছিস আর আমি তোকে খুঁজে বেড়াচ্ছি। ঝিলিক বলে কেন আমাকে কেন খুঁজছিস দুটো বউ পেয়েছিস ওদেরকে নিয়ে থাক। দেবা বলে দেখ আমার না কিছু ভালো লাগছে না দুজনে বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না কি করছে কে জানে। ঝিলিক বলে ঠিক আছে ভালোই হয়েছে তুই আমার বর কে তাড়িয়ে দিয়েছিস এখান থেকে। তুই যা পারিস তা কর আমি এগুলো নিয়ে মাথা ঘামাবো না। দেবা বলে এসব কথা বাদ দে তুই এখন কি করতে পারবি কিনা কিছু তাই বল। ঝিলিক বলে কি করবি যা গিয়ে টেনে এক টাকে বের করে দে। কি ভাবে দেবো আমি তো ওদের চিনতে পারছি না। অনিমেষ রায় তখন বলে পি আরকের চাল হতে পারে এটা ও সম্পত্তি আটকানোর জন্য এমনটা করতে পারে। ঝিলিক তখন বলের রজতাবলাহেরি ও হতে পারে ওর সম্পত্তির উপরে লোভ আছে। আমি তো খুঁজে বের করবই কি আসল আঁখি তার আগে আমি পিআরকে কে খুঁজে বের করব।




পল্টু তখন বলে গৌরব কি একটু ফোন কর না ও যদি আমাদের হেল্প করতে পারে। ঝিলিক বলে কিভাবে করব  এই গাধাটা তো রাস্তায় বন্ধ করে দিয়েছে। আমার বরটাকে তাড়িয়ে দিল। কোন হেল্প করব না দুটো বউ নিয়েও বুঝুক ঠেলা। দেবা তখন বলে হাতে যখন পাকে পড়ে চামচিকাতেও লাথি মারে। ঝিলিক তখন দিবাকে বলে তুই চামচিকা কাকে বললি তারপর দেবা কে দৌড়ানি দেয়। সবাই মিলে ঝিলিককে আটকায়। তারপর সবার রিকুয়েস্টে ঝিলিক গৌরব কে একটা কল দেয়। কিন্তু গৌরব তখন ওর মাকে খাবার খাওয়াচ্ছিল। গৌরব ঝিলিকের ফোনটা রিসিভ করেনা। এদিক ঝিলিক কি করবে বুঝতে না পেরে ও মিছে মিছে কল রিসিভ করার অভিনয় করে। তারপর সবাইকে বলে উনি মিটিংয়ে রয়েছেন বিদেশীদের সাথে মিটিং করছে। উনি এখন ব্যস্ত আছি আসতে পারবেন না। অন্যদিকে আমরা দেখতে পাই পিআরকে ওর গোপন আস্তানায় রাইমার জন্য অপেক্ষা করছিল। রাইমা ওখানে আসার পর পিয়ার কে রায়মা কে অনেক ধন্যবাদ দেয়। আর বলে তোমার পাঠানো কাল নাগিন কিন্তু খুব ভালো অ্যাক্টিং করছে। তুমি তো সঠিক মানুষ নির্বাচন করেছো এ কাজের জন্য। এবার যা করার আমি করব। রাইমা তখন বলে আমি না বলেন আমরা। আপনি তো এখন পলাতক রয়েছেন এখন বাইরে তো বের হতে পারবেন না। তাই বাইরে যা করার সেটা আমিই করব। তখন সেখানে পিসিমণি চলে আসে। আর বলে আমি না রাইমা বলো আমরা করবো। আমার প্রথম থেকেই সন্দেহ ছিল তাই তোমার পিছু পিছু চলে এলাম। পিআরকে তখন মনে মনে বলে এখন এই আপদ টাকেউ সহ্য করতে হবে। অন্যদিকে আমরা দেখে বস্তিতে আঁখি এবং নকল আঁখি দুজনের ভিতর ঝামেলা শুরু হয়ে যায়। আঁখি ওই মেয়েটাকে বলে দেবা আসুক তোমাকে এই ঘর থেকে বের করে দেব। কিন্তু ঘর না পুরো বস্তি থেকে বের করে দেবো। মেয়েটা বলে দেবা আমার স্বামী আমি তোমাকে বের করে দেব। তখন সেখানে ঝিলিক আসে।




এদের দু জনের অবস্থা দেখে দুজনকে আটকানোর চেষ্টা করে। কিন্তু কেউ তো কথা শোনার নয়। দুজন হাতের মাথায় যে যেটা পাচ্ছে সেই সেটা ছুড়ে মারছে একে অপরকে। কাউকে থামাতে পারছে না  ঝিলিক। এদিকে বস্তির সকলে দেবার ঘরের সামনে এসে ভিড় করেছে। এদিকে দেবা গ্যারেজে ছিল। তখন ওখান দিয়ে গৌরব আসছিল। দেবা গৌরব কে দেখে বলে তুমি আবার ফিরে এলে যে। গৌরব বলে কেন তোমার কোন অসুবিধা আছে। দেবা তখন বলে হ্যাঁ অবশ্যই আছে সকালেই তো বললাম তোমার এই বস্তিতে কোন জায়গা নেই। গৌরব বলে আমি একশ বার এখানে আসব তাতে তোমার কি। আমি এই বস্তির জামাই। দেবা তখন বলে নিজের বউকে দাম দাও না আবার বলছে বস্তির জামাই তখন ঝিলিক তোমাকে কল দিল তুমি মিটিং এর দোহাই দিয়ে এলেনা। গৌরব বলে আমি কোন মিটিংয়ে ছিলাম না। তারপরে হঠাৎ করে ওর মনে পড়ে ঝিলিক আমাকে কল দিয়েছিল আমি ফোনটা রিসিভ করেনি। তাই হয়তো আমার সম্মান বাঁচানোর জন্য ও মিথ্যা কথা বলেছে সবাইকে। আমার ঝিলিকের কাছে সবকিছু বলে ক্ষমা চেয়ে নেওয়া উচিত। তখন সেখানে চার আনা আসে আর বলে দেবা দা শিগগির চলো তোমার দুই বউ ঝগড়া শুরু করেছে। তারপর দিবা কোন কিছু না বলেই দৌড় দেয়। গৌরব মনে মনে বলছে দেবার দুই বউ মানে দেবা তো আরো বেশি চিটিংবাজ তাহলে। আঁখি ছাড়াও ওর আরও একটা বউ আছে। তারপর গৌরবও দেবার বাড়ির দিকে যাই।

Post a Comment

Previous Post Next Post